গাজীপুর মহানগরীর পূবাইল মেট্রোপলিটন থানায় হবু বরকে বেঁধে রেখে এক তরুণীকে ধর্ষণের প্রধান আসামি মিলনকে (৩০) রাজশাহীর পুঠিয়া থেকে গ্রেফতার করেছে পূবাইল থানা পুলিশ।
রোববার পূবাইল থানার ওসি মহিদুল ইসলাম প্রধান আসামি মিলনকে গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করে দৈনিক আগামীর সময়কে জানান, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামিকে রোববার ভোরে গ্রেফতার করেছে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সাইফুল ইসলাম ও তার সঙ্গীয় ফোর্স।
এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার রাতে পূবাইল মেট্রোপলিটন থানায় ওই তরুণী তিনজনকে আসামি করে মামলা করেছেন। শুক্রবার বিকালে ইউসুফ ও শের-এ আলীকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে গাজীপুর জেলা কারাগারে প্রেরণ করে পুলিশ।
অভিযুক্তরা ছিল ৪১নং ওয়ার্ডের নয়ানীপাড়ার ফজলুল মিয়ার ছেলে মিলন মিয়া (৩০), লাল মিয়ার ছেলে ইউসুফ (২৫) ও কবির মিয়ার ছেলে শের-এ আলী (২৫)।
তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে অন্যতম ও প্রধান আসামি মিলনকে রোববার ভোরে রাজশাহীর পুঠিয়া থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে পূবাইল থানার এসআই সাইফুল ইসলাম। মামলার তিন দিনের মাথায় এজাহারভুক্ত তিন আসামিকেই গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে পূবাইল থানা পুলিশ।
উল্লেখ্য, গত ৪ জুন কারখানা ছুটি দিলে ভিকটিম সন্ধ্যায় হবু বরের সঙ্গে বাসায় ফেরার সময় ওই তিন আসামি তাদের পথরোধ করে। এ সময় ইউসুফ ও শের-এ আলী হবু বরকে মারপিট করে বেঁধে রাখে আর ওই তরুণীকে বাঁশঝাড়ে নিয়ে ধর্ষণ করে মিলন।
এ সময় দুই বন্ধু মোবাইলে ভিডিও ফুটেজ ধারণ করে। পরে বেতন পেলে ১০ হাজার টাকা দেয়ার শর্তে তাদের ছেড়ে দেয়। টাকা না দিলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও ফুটেজ ছেড়ে দেবে বলে হুমকি দেয়।
কথামতো বেতন হলে ১৪ জুন বিকালে তরুণীর বাড়ির মালিককে অভিযুক্তরা ভিডিও ফুটেজ ও ছবি দেখিয়ে টাকা ১০ হাজার দাবি করে। বিষয়টি জানাজানি হলে উপায়ন্তর না দেখে বাড়ির মালিক ও প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় পুলিশের শরণাপন্ন হন তারা। আর মামলার তিন দিনের মধ্যে তিন আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
